হ্যালো 24 নিউজ।। দুধের জন্য কাঁদছিল কোলের শিশু। কিন্তু দুধ কেনার মতো অর্থ যে মায়ের কাছে নেই। তাই সন্তানের মুখে কিছু তুলে দিতে পাশের বাড়িতে ভাতের মাড় আনতে যান মা। তার এই অবস্থা দেখে এক প্রতিবেশী সহায়তার জন্য ৩৩৩ নম্বরে কল দেয়ার পরামর্শ দেন। অসহায় মা আমেনা বেগম ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেন। এরপরই বিষয়টি অবগত হন শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বি এম রুহুল আমিন রিমন। দ্রুত তার বাড়িতে ছুটে গিয়ে শিশুটিকে দুধ কিনে দেয়াসহ আমেনার হাতে তুলে দেন খাদ্য সহায়তা।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের বাসিন্দা আমেনা বেগম। ছয় মাসের সন্তান গর্ভে রেখে মারা যান তার স্বামী। ভাঙ্গাচোড়া একটি ছাপড়া ঘরে বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে স্বামীর ভিটাতেই তার বসবাস।
অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার চলে। কিন্তু করোনাকালে অন্যের বাড়িতে কাজকর্ম বন্ধ। তাই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বউ-শাশুড়ির। পেটে খাবার না থাকায় বুকের দুধও পাচ্ছে না ছয় মাসের শিশুটি।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম রুহুল আমিন বলেন, ‘মঙ্গলবার ইফতারের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ৩৩৩ নম্বর থেকে অফিসিয়াল ফোনে খাদ্য সহযোগিতা চেয়ে একটি এসএমএস আসে। বেশ বিরক্তি নিয়েই ওই নম্বরে কল দিলাম। আমেনা নামের এক নারী ফোন দিয়ে তার অসহায়ত্বের কথা জানান। রাতেই তাকে দুধসহ খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কাজ সত্যিই মনকে প্রশান্তি দেয়। একজন অসহায় মায়ের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। চাকরিজীবনে এটাই বড় প্রাপ্তি। সরকারের মানবিক সহায়তাসহ তাকে অন্যান্য সহযোগিতাও করা হবে।