হ্যালো 24 নিউজ।। চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে দুটোর বেশি টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন একটা সময়। তবে জফ্রা আর্চার এখন অনেকটাই সুস্থ। জানা যাচ্ছে, ১২ তারিখ, প্রথম ম্যাচ থেকেই আর্চারকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ইংল্যান্ড শিবির।
ইংল্যান্ড শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, আর্চার নিয়মিত অনুশীলন করছেন। এত দিন মূলত ব্যাটিং প্র্যাক্টিসই করছিলেন। বুধবারও তাঁর ব্যাট হাতে ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, নেটে বোলিংও শুরু করেছেন আর্চার। রাতে ইংল্যান্ডের মিডিয়া ম্যানেজার, ব্রায়ান মার্গাট্রয়েডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ দিন নেটে বল করেছে আর্চার।’’ যে কারণে এই ফাস্ট বোলারকে পাওয়ার ব্যাপারে আশার আলো দেখছে ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আর্চারের ফিটনেসের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এই ফাস্ট বোলারকে ফিটনেস পরীক্ষাতেও বসতে হতে পারে। তবে ইংল্যান্ড শিবির আশা করছে, সেই পরীক্ষায় পাশ করতে সমস্যা হবে না আর্চারের। এও জানা গিয়েছে, আর্চারের কনুইয়ে এখন যে সমস্যাটা হচ্ছে, তার সঙ্গে গত বছরের পুরনো চোটের কোনও সম্পর্ক নেই। যে কারণে আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন অইন মর্গ্যানরা।
মর্গ্যানের নেতৃত্বে পুরো শক্তির দল নিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে ঝাঁপাবে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক নিজেও ভাল ছন্দে আছেন। এ দিন ইসিবি-র পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নেটে অক্লেশে স্পিনারদের বল মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন মর্গ্যান। যিনি আবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কও।
টেস্ট সিরিজে ভারতের কাছে হারের ধাক্কা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সাদা বলের দ্বৈরথে? জস বাটলার মনে করেন, ব্যাপারটা সে রকম হবে না। ‘‘টি-টোয়েন্টির এই দলটায় বেশির ভাগ অন্য ক্রিকেটার আছে। তাই টেস্ট সিরিজের প্রভাব পড়বে না। এই সিরিজটা জিতে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চাই। যাতে বিশ্বকাপে সেটা কাজে আসে,’’ আগের দিন বলছিলেন বাটলার।
গত বছর আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ নম্বরে নেমে এসেছিলেন বাটলার। ওপেন করেন বেন স্টোকস। কিন্তু ইংল্যান্ডের জার্সিতে খুব সম্ভবত বাটলারই ওপেন করবেন। মিডল অর্ডারে চলে আসবেন স্টোকস। ওপেনে বাটলারের সঙ্গে দেখা যেতে পারে জনি বেয়ারস্টোকে। টেস্ট সিরিজে জঘন্য খেললেও সাদা বলের ক্রিকেটে সম্ভবত বেয়ারস্টোই সুযোগ পাবেন। যতই জেসন রয় অনুশীলনে দুরন্ত ছন্দে থাকুন না কেন। তিন নম্বরে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান দাভিদ মালান। এর পরে স্টোকস, মর্গ্যান এবং স্যাম বিলিংসের থাকার সম্ভবনা রয়েছে।
সাংবাদিকদের বিলিংস বলেছেন, ‘‘আমি জানি, ভারত দারুণ একটা দল। বিশেষ করে ঘরের মাঠে। তবে নিজের উপরে আমার আস্থা আছে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জটা নিতে আমি পুরোপুরি তৈরি।’’