asd
Homeস্থানীয় খবরবীরগঞ্জ পৌর শহরে মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ।

বীরগঞ্জ পৌর শহরে মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ।

হ্যালো 24 নিউজ।। বীরগঞ্জ পৌর শহরে মশার উপদ্রবে রীতিমতো অতিষ্ঠ জনজীবন। দিন-রাত মশার উৎপাত চলছে সমান হারে।
মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে কয়েল ও অ্যারোসলসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করেও মশার হাত থেকে যেন নিস্তার মিলছে না। মশার উৎপাত এতোটাই বেশি যে দরজা-জানালা খুলে রাখার উপায় নেই। এতে যেমন মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘাত হচ্ছে, তেমনি মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানস যায়, বীরগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভার কিছু কিছু ড্রেন পরিষ্কার করা হলেও অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলছে নাগরিক ভোগান্তি। বলা যেতে পারে, সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত।

অনেক জায়গায় খেয়াল করলে দেখা যায় নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশের ড্রেন ও নালার ময়লাগুলো তুলে সড়কে রাখায় এবং স্তুপীকৃত ময়লা-আবর্জনা ও যত্রতত্র রাখা ডাস্টবিনের কারণে পুরো পৌরসভা উন্মুক্ত ভাগাড়ের নগর মনে হচ্ছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে চোখে পড়ছে না মশক নিধন অভিযান। যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে সেই হারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম চোখে না পড়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। মশার অত্যাচারে ছাত্র-ছাত্রীরা সুষ্ঠুভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। মশার উপদ্রব যেভাবে বাড়ছে, তাতে রোগ-বালাই মহামারি আকার ধারণ করতে পারে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

উপজেলা ও পৌরসভার অদিকাংশ এলাকায় পরিকল্পনা অনুযায়ী নালা-নর্দমার ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা ও পৌরসভার সদরের ড্রেনে পানি জমে এখন মশাদের অবাসস্থলে পরিনত হয়েছে। অনেক ড্রেন-নর্দমা অপরিষ্কার থাকার কারণে ময়লা পানি আবদ্ধ হয়ে থাকায় মশার বংশবিস্তার করছে।

উপজেলার ও পৌরসভার অধিকাংশ স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, যদি মশার এসব আবাসস্থল নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য পৌর প্রশাসনের পরিচ্ছন্ন শাখার কার্যকর্ম অব্যাহত থাকে এবং সেই সঙ্গে মশা নিধন অভিযান, তবেই মশার উৎপাত থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পেতেন পৌরবাসী।

আবার মশা নিধন পৌরসভার উপর ছেড়ে দিলেই চলবে না, এর সঙ্গে সকল এলাকাবাসীকে সচেতনতামূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজের আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে বসবাসকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। বাড়ির ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। এমনটি করা হলে মশার উৎপাত অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
বীরগঞ্জ পৌর শহরের পথচারী সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল আজিজ জানান যে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মশারা বংশবিস্তার ঘটায়। মশার কামড়ে চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, পীতজ্বর ইত্যাদি হতে পারে। এজন্য সকলকেই সতর্ক হতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। কয়েল ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ব্যাপারে সবার সতর্ক হতে হবে।

বীরগঞ্জ পৌরসভার সিংহভাগ মানুষ খুব দ্রত মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

Stay Connected
16,985FansLike
2,458FollowersFollow
61,453SubscribersSubscribe
Must Read
Related News

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here