হ্যালো 24 নিউজ।।চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৩টি জেলা লিগ সম্পন্ন করেছে। খেলা শুরুর পর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চট্টগ্রাম ও বগুড়া স্থগিত রেখেছে। লিগ চলছে তিন জেলায়। চলতি মার্চে ১২টি এবং আগামী এপ্রিলে ২টি, মে সাসে ৪টি এবং জুনে ১টি জেলায় খেলা শুরুর কথা। লিগ শুরু নিয়ে ২০টি জেলা বাফুফেকে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি। নানামুখী সমস্যায় আটকে আছে ৭ জেলার খেলা। সব মিলিয়ে বুধবার কমিটির বৈঠক শেষে হতাশার কথা জানান সালাউদ্দিন; যিনি জেলা লিগ কমিটিরও চেয়ারম্যান। “জেলা লিগের চিত্র খুব একটা ভালো নয়। জেলাগুলো খেলার চেয়ে নির্বাচন নিয়েই বেশি আগ্রহী। সব জেলার চিত্র এমন নয়। তবে বেশিরভাগ জেলা অকার্যকর। আমার বার্তা হলো ফুটবল গোটা দেশে হতে হবে। আপনারা যারা যেখানে আছেন, যারা যে দায়িত্ব নিয়েছেন আপনারা আপনাদের কর্তব্য করেন। আমরা আমাদের কর্তব্য করব। সবাই যদি সবার কর্তব্য করি, তাইলেই কেবল ফুটবল এই দেশে হবে।”
জেলার কাউন্সিলরশিপ নিয়ে এই ছয় মাসের ব্যবধানে সালাউদ্দিনের অবস্থান টলেছে। গত অক্টোবরে নির্বাচনে জয়ের পর বলেছিলেন, টানা দুইবার জেলা লিগ না হলে কাউন্সিলর হতে পারবেন না তারা। বুধবার সে কথা মনে করিয়ে দিলে সভাপতি বললেন, কাউন্সিলরশিপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে বাফুফে, ফিফা। “(কাউন্সিলরশিপ বাতিল) না, না, আমি এটা বলিনি। আমি কখনোই বলিনি কাউন্সিলরশিপ বাতিল করার কথা এবং এটা আমার বলার অধিকারও নেই। এটা থাকবে, না থাকবে সেটা ঠিক করবে এজিএম। অথবা ফিফা। আমার কোনো অধিকারও নেই এবং ইচ্ছাও নেই।” জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্ববান হতে বললেন সালাউদ্দিন।
“বারবার যেটা বলছি জেলার ফুটবলের কর্মকর্তাদের তাদের রেসপনসিবলিটি নিতে হবে। আমি তাদের বার্তা দিলাম, এটার শেষ কোথায় হবে, সেটা খুবই কঠিন। কিন্তু আপনারা যারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছেন, দয়া করে নিজেদের কাজটুকু করা নিশ্চিত করেন। তা না হলে যে কোনো সিদ্ধান্ত আদালত বা ফিফা থেকে আসতে পারে। তখন আমার কিছু করার থাকবে না। ক্ষমতা থাকবে না।”