হ্যালো 24 নিউজ।। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এছাড়া তাবলীগের সাদপন্থীদের মারধরের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। জোশের কারণে ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় বিশিষ্ট নাগরিকদের মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন মামুনুল।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই ও মুন্সিগঞ্জে দুটি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঁচটি মামলা এবং চলতি বছরে মামলা হয়েছে ১০টি। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলাও আছে।
সিআইডির এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, হামলা ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত ছিল, মদদ দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে। ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব মামলা প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলা’য় রিমান্ডে আছেন। প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। আমরা সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোনো মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এর আগে সোমবার ১৯ এপ্রিল/২১ মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়।
আগেই তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত রোববার ১৮ এপ্রিল/২১ দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।